দেশের খবর লামা : বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকার কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যা সন্তানসহ তিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তম বড়ুয়া (৩৪) নামের এক যুবককে সন্দেহভাজন আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার ৬ দিন পর মঙ্গলবার দিনগত রাতে চাম্পাতলী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। উত্তম বড়ুয়া চম্পাতলী গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক স্কুল শিক্ষক প্রমোদ চন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে।
এর আগে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মাজেদা বেগমের দুই দেবর, বড় বোন ও বোনের স্বামী সহ ৬ সন্দেহভাজনকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
হত্যাকান্ডের পর থেকে উত্তম বড়ুয়াসহ আরো কয়েকজন পুলিশের সন্দেহের নজরদারিতে ছিল বলে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে লামা পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী গ্রামের প্রবাসী নুর মোহাম্মদের তালাবব্ধ বাসায় স্ত্রীসহ দুই কন্যা সন্তানের লাশ দেখতে পেয়ে ছোট ভাই আব্দুল খালেক পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ তালা ভেঙ্গে প্রবাসীর বাসা থেকে স্ত্রী মাজেদা বেগম, দশ মাস বয়সী শিশু কন্যা নুর-এ জান্নাত নুরী ও এসএসসিতে পড়ুয়া সুমাইয়া ইয়াছমিন রাফির লাশ উদ্ধার করে।
শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডের সময় র্দুবৃত্তরা ওই বাসার আলমিরা এবং ওয়্যারড্রপের ড্রয়ারের তালাভেঙ্গে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার কথা জানান প্রবাসী নুর মোহাম্মদের মা ছকিনা খাতুন।
ঘটনার পরদিন নিহত মাজেদা বেগমের মা লাল মতি খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বাসাটি প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে পাহারায় রেখেছে। টাকা-স্বর্ণালংকার লুটের জন্য এ খুনের ঘটনা সংঘটিত হতে পারে বলে পরিবারের সদস্যদের ধারণা।
পুলিশ ও পিবিআই’র পাশাপাশি র্যাব এই আলোচিত নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনার ছায়া তদন্তের জন্য মাঠে কাছ করছে।
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লামা সার্কেল) রেজুয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তদন্তের স্বার্থে এখন সব বলা যাচ্ছে না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ডিখ/রফিক/মুন্না