দেশের খবর চট্টগ্রাম : নিজ বাসার খাটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রেখেছেন ইয়াবা ট্যাবলেট। তবে রক্ষা হল না। নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশের বুদ্ধিমর্ত্তায় ইয়াবাসহ ধরা পড়ে গেলেন মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইয়াছিন (৩৮)।
নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বলির পাড়ার ২ নম্বর গলি মাহবুবুল আলমের ভাড়া বাসা থেকে এক তরুণীকে উদ্ধারে অভিযানে গিয়ে ইয়াবাসহ ইয়াছিনকে গ্রেফতার করে ডবল মুরিং থানা পুলিশ।
মো. ইয়াছিন চট্টগ্রামের বেপারীপাড়া তালিমুল করিম আদর্শ মাদ্রাসার সুপার মো. ইয়াছিন (৩৮)। পুলিশ জানায় ১০ বছর আগেও ইয়াবা নিয়ে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তখন জেলও খেটেছেন।
সম্প্রতি শিক্ষকতার পেশার লেবাসে ফের ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ে ইয়াছিন। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায়ও অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারের পর মো. ইয়াছিন পুলিশকে জানায়, শারীরিক সক্ষমতা ঠিক রাখতে তিনি ইয়াবা সেবন করেন। আর অতিরিক্ত লাভের আশায় বিক্রি করেন।
পুলিশ জানায়, মাদ্রাসা শিক্ষকতার লেবাসে তিনি ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করতেন। ১৯ বছর বয়সী এক সিএনজি অটোরিকশা-চালকের মেয়েকে প্ররোচিত করে বিয়ের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
গ্রেফতারের তথ্যটি দেন ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন। তিনি জানান, এক তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদ্রাসার শিক্ষক হওয়ায় এলাকায় তার পরিচিতি ভালো এবং ঝুঁকি কম হওয়ায় আড়ালে তিনি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
এর আগে ২০১১ সালে ইয়াবা নিয়ে একবার গ্রেফতার হয়ে দেড় মাস জেল খেটেছেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গ্রেফতার ইয়াছিন। তার বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মাদক আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে জানান ওসি।
ডিখ/সৃষ্টি