দেশের খবর,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী ও লোহাগাড়া উপজেলায় পৃথক দুটি অভিযানে দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযান পৃথক হলেও অভিযোগ একই। মাদ্রাসায় শিশু ছাত্রদের বলাৎকারের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, বুধবার (২৬ মে) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী আলী নগরের দারুস সুন্নাহ আল ইসলামীয়া (হেফজ/নুরানী) মাদ্রাসা থেকে ওই মাদ্রাসার দুই শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আজিজুর রহমান আজিজকে গ্রেফতার করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, শিক্ষক আজিজ নিজেকে হাফেজ পরিচয়ে মাদ্রাসায় অধ্যায়রত শিশুদের ইহকাল ও পরকালের বিভিন্ন ইসলামী ফতুয়া দিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বলাৎকার করে আসছিল।
তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত দুই শিশুর অভিভাবক অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের সূত্র ধরে গতকাল বুধবার রাতে ওই মাদ্রাসা থেকে আজিজকে গ্রেফাতার করা হয়।
ওসি বলেন, আজিজকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
অপরদিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া দুর্লভের পাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় হেফজ বিভাগে কুরআন হেফজ পড়ুয়া ৯ বছর বয়সী এক শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আব্দুল্লাহ মুজাহিদ (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, নির্যাতিত শিশুটি তার পরিবারকে জানায় দীর্ঘদিন ধরে তার মাদ্রাসা শিক্ষক তাকে বলাৎকার করে আসছে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনাটি থানায় অবহিত করা হয়। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকের হোসাইন মাহমুদ।
তিনি বলেন, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাইদ চৌধুরীর কাছ থেকে এক শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগ শুনে সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য গ্রেফতার মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ডিখ/মুন্না