আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরিয়ার নাইজার প্রদেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। রবিবার ওই প্রদেশের তেজিনা শহরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দিস ডে নামে একটি খবরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, অস্ত্রধারীরা মোটরসাইকেলে করে পুরো শহর চষে বেড়ায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
মানুষজন তাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। স্কুলটিতে ছয় বছর থেকে শুরু করে ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ছেলে শিশুরা এক সাথে পড়তো।
এদিকে নাইজার প্রশাসন এক টুইট বার্তায় জানায়, এখন পর্যন্ত দুইশ শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণের ঘটনাটি ঘটতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে জামফারা স্টেটের জাঙ্গেবে এলাকার একটি আবাসিক স্কুল থেকে প্রায় ৩শ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল অস্ত্রধারীরা।
যদিও তাদের বেশিরভাগকেই পরে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। গত ডিসেম্বর থেকে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে শিক্ষার্থী অপহরণের কমপক্ষে ৬টি ঘটনা ঘটেছে।
মুক্তিপণ আদায়ে অপহরণের ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে নাইজেরিয়ায়। রবিবারের ঘটনা বাদ দিলে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৭৩০ জন শিশু ও শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হয়েছে।
২০১৪ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চিবক শহরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক হামলা ও অপহরণগুলো আলাদা কোন চক্র চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিখ/মুন্না