খেলার খবর : আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে দিয়ে ফের জ্বলে উঠেছে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। মেসি ম্যাজিকে রীতিমতো উড়ে গেছে বলিভিয়া। ৪-১ গোলে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রতিপক্ষ বলিভিয়াকে।
আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শেষ ম্যাচে প্রয়োজন ছিল জয়। প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।
মেসি এবং সার্জিও আগুয়েরোর যুগলবন্দী যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বলিভিয়ানরা।
কুইয়াবার অ্যারেনা পানতানালে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন মেসি। বাকি দুটি গোল করলেন আলেহান্দ্রো গোমেজ এবং লওতারো মার্টিনেজ।
৪ ম্যাচে ৩ জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আগামী ৩ জুলাই গোইয়ানিয়ায় ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে নামবে মেসির আর্জেন্টিনা।
এদিকে বলিভিয়ার হয়ে একমাত্র সান্তনাসূচক গোলটি করেন এরউইন সাভিদরা। আগের তিন ম্যাচ হেরে এমনিতেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল বলিভিয়ার। যার ফলে এই ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার।
তবে পেশাদার ফুটবলে এসব ‘নিয়মরক্ষা’ শব্দের কোনো ঠাঁই নেই। এখানে সব ম্যাচই সমান। যার পরিপূর্ণ ছাপ দেখা গেলো আর্জেন্টিনার খেলায়।
এই ম্যাচে যে অধিনায়ক মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। সে হিসেবে বলিভিয়ার বিপক্ষে পুরো সময়টাই মাঠে ছিলেন মেসি।
মাঠে নামলেই রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন লিওনেল মেসি, এমনটি জানাই ছিল। আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড আজ তার হাতে।
আর নামার সঙ্গে সঙ্গেই হাভিয়ের ম্যাসচেরানোকে পিছনে ফেলে আলবিসেলেস্তের হয়ে ১৪৮ ম্যাচ খেলে সর্বকালের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন তিনি। ম্যাচে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়কও তিনি।
ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় গোল আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা। কোররেয়ার কাছ থেকে ডি বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় ডিফেন্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে বল বাড়ান মেসি।
ছুটে গিয়ে চমৎকার ভলিতে বাকিটা সারেন গোমেজ। গোলের সূচনা করেন পাপ্পু গোমেজ নামে পরিচিত আলেহান্দ্রো গোমেজ। এ নিয়ে দুই ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচেই গোল পেলেন গোমেজ।
৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। এবার গোল এলো পেনাল্টি থেকে। পাপ্পু গোমেজকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন বলিভিয়ার দিয়েগো বেজারানো। স্পট কিক নেন মেসি।
৪২তম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলেন মেসি। মাঝ মাঠ থেকে বল বাড়ান আগুয়েরো। বলিভিয়ার ডিফেন্সিভ হাফ থেকে বল বাড়িয়ে দেন আগুয়েরো। আগুয়ান মেসি বলটা শুধু তুলে দিলেন বলিভিয়ার গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে। সেটি গিয়ে আশ্রয় নেয় বলিভিয়ার জালে।
৬০তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে ব্যবধান কমায় বলিভিয়া। লিওনেল জুস্তিনিয়ানোর ক্রসে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন এরউইন সাভেদ্রা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে ডান পায়ের শটে চতুর্থ গোলটি করেন লওতারো মার্টিনেজ।
এর আগে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে মাঠে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। বলিভিয়াকে হারিয়ে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত রইলো লা আলবেসেলেস্তারা।
২০১৯ সালে কোপা আমেরিকায় সর্বশেষ ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল আর্জেন্টাইনরা। এরপর আর কোনো ম্যাচ হারেনি তারা।
ডিখ/সৃষ্টি
