দেশের খবর চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর রেলওয়ে ষ্টেশন কলোনীস্থ নিজ বাসার মায়ের কোল থেকে আট মাস বয়সে অপহৃত হয় শিশু মো. ফারহান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও খোঁজ মেলেনি শিশু ফারহানের।
মুক্তিপণ চেয়েও আসেনি কোন ফোন। শিশুর সন্ধানে কোতোয়ালি থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয় মা। এরপর থেকেই মাঠে কোতোয়ালি পুলিশের টিম।
অবশেষে অপহৃত হওয়ার প্রায় ৫ মাস পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
একই সাথে শিশু ফারহানকে অপহরণে জড়িত এক নারী ও এক পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাসের মাথায় শিশুটি ফিরে পায় তার মায়ের কোল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল তিতারকোনা খলিল মিয়া বাড়ির মো. খলিল পাটোয়ারির ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫) ও একই জেলার চুনারুঘাট দক্ষিণ নলপটির মৃত ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে ও মো. খোকনের স্ত্রী সুলতানা বেগম সুমি (২৬)।
পুলিশ জানায়, সুলতানা বেগম সুমি সম্প্রতি সিলেট থেকে এসে নগরীর বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে অবস্থান নেন। প্রায় প্রতিনিয়ত বাসায় আসা যাওয়ায় সখ্যতা গড়ে উঠে শিশু ফারহানের মা তসলিমা ঝর্ণার সাথে।
ঘটনার দিনও সে ঝর্ণার বাসায় আসে। এসময় ফারহানের মায়ের কোল থেকে আদর করার কথা বলে সুলতানার কোলে নেন শিশুটিকে। একটু পরে ঝর্ণা ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সুলতানা।
পরে শিশু ও অপহরণকারী সুলতানাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশেীত) ২০২১ এর ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারীর চক্রটি এসএমপি সিলেট কোতোয়ালী থানা এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত করি।
পরে সিলেট কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা এলাকা থেকে অপহৃত শিশু মো. ফারহানকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
তাছাড়া গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতে প্রেরন করা হবে বলে তিনি জানান।
ডিখ/সৃষ্টি