দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম কারাগারে

দাঁতমারা-ইউপি চেয়ারম্যান-জানে আলম-কারাগারে

অপরাধের খবর।। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জানে আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি দুর্ণীতি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া শুনানি শেষে এ চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। সরকারী কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদক কার্যালয় ২ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।

মামলার আসামিরা হলেন- দাঁতমারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম, ফটিকছড়ির কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক, একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সুজিত কুমার নাথ, ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম ও তৎকালীন ট্যাগ অফিসার প্রণবেশ মহাজন।

মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান জানে আলম হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের সময় শেষ হওয়ায় জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন দুদকের পিপি অ্যাড. মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ১ম ও ২য় পর্যায়ের মোট ৮০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি হারে ৪১ জন শ্রমিকের ৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্পে ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়।

তারা কেউই শ্রমিক নয় এবং সকলেই স্বাবলম্বী। তাদের মধ্যে স্কুল প্রধান শিক্ষক, পুলিশ সদস্য, গ্রাম পুলিশ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ছিল। তারা কখনও কৃষি ব্যাংকে যাইনি কিংবা হিসাব খোলেননি এবং টাকাও উত্তোলন করেননি।

এরপর ২০২০ সালে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন তদন্ত করে ৪১ জন শ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় চেয়ারম্যানসহ বাকিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদক কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন।

ডিখ/প্রিন্স