মহানগরের খবর।। দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে এখনি মুক্তি মিলছে না তার।
আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ইতোমধ্যে সম্রাটের বিরুদ্ধে থাকা চার মামলার মধ্যে তিনটিতেই জামিন পেয়েছেন তিনি। কিন্তু দুদকের এ মামলায় আজ জামিন পাননি তিনি।
এর আগে গত ৩১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান দুদকের মামলায় সম্রাটের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এদিকে দুদিন আগে গত ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এক মামলায় স্থায়ী জামিন পান সম্রাট। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার সম্রাটের স্বাস্থ্যগত কারণ বিবেচনায় এ আদেশ দেন।
রবিবার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাটকে ক্যাসিনো মামলায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তার সহযোগী এনামুল হক আরমানসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাঁকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরের দিন দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।
ডিখ/প্রিন্স