টিকা নিতে বয়সসীমা ৪০ বছরের চেয়েও কমে আসছে

টিকা নিতে, বয়সসীমা,কমে আসছে
সংগৃহিত ছবি

জাতীয় খবর : দেশে মহামারী করোনার উদ্ধগতিতে নানান উদ্দ্যেগ নিয়ে তা রোধ করার চেষ্টা করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকা নিতে আগ্রহী করছে।

টিকা নিতে নিবন্ধন জটিলতা লাঘবে চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তরুণ জনগোষ্ঠীকেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার টিকা আগ্রহীদের বয়সসীমা আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, করোনা টিকা নেয়ার বয়সসীমা ৪০ বছরের চেয়েও কমে আসছে। বয়স ৩৫ বছর হলেই করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করা যাবে।

করোনা টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরুতে বয়স অন্তত ৫৫ বছর হতে হবে ঘোষণা দিলেও ইতিমধ্যে বয়সসীমা কমিয়ে ৪০ বছর নির্ধারণ করেছে সরকার।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকা প্রয়োগ শুরুর পরের দিন সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বয়স কমিয়ে ৪০ করা হয়।

এবার তরুণদেরও টিকার আওতায় আনতে বয়সমীমা আরো কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সরকার থেকে জানানো হয়। তাছাড়া নিবন্ধন করতে এখন যে সব কোটা পদ্ধতি রয়েছে সেটা তুলে দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম পরিকল্পনায় ফের পরিবর্তন আনা হয়েছে।

টিকা দান কার্যক্রমের শুরু থেকে আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা বলা হলেও পরে আবার সেটাকে চার সপ্তাহে নামিয়ে আনা হয়। পরে এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা সমালোচনার মুখে সেটাকে আবারও আট সপ্তাহ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কমিটিসহ অনেকের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকেও দ্বিতীয় ডোজের ব্যাপারে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের পরামর্শ আছে। সেক্ষেত্রে আমরা আট সপ্তাহকেই বেছে নিচ্ছি।’

অনেককে দ্বিতীয় ডোজ নিতে চার সপ্তাহ পর সময় দেয়া হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখ পরিবর্তন করে দেয়া হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে টিকা গ্রহীতাদের যে তথ্য আছে, সে আলোকে আবারও সময় ঠিক করে মেসেজে দ্বিতীয় ডোজের ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হবে। যেহেতু আট সপ্তাহের একটা বড় সময় আছে, এর মধ্যে আমরা ঠিক করে ফেলতে পারবো বলে আশা করছি।’

ডিখ/সৃষ্টি