অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন বেগম খালেদা জিয়া-শাহাদাত

খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন

রাজনীতির খবর : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরোনো রোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ।

করোনা হওয়ার পর আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ, সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।

আজ শুক্রবার(২৫ জুন) বাদে জুমা হযরত শাহ আমানত খান (রঃ) মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে নগর বিএনপির উদ্দ্যেগে গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহাজাদা এনায়েত উল্লাহ খান।

তিনি উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দ্যেশে আরো বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা পরবর্তী নানা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশ ও জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন অবস্থানের কারণে তিনি আজ সবচেয়ে মজলুম নেত্রী। উপ মহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করছে।

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রশ্নে কৌশল করেছে সরকার। প্যারোলে মুক্তির নামে শর্ত দিয়ে তাকে রাজনীতি ও জনগণ থেকে দুরে রাখছে। গুরুতর অসুস্থ ও ৭৬ বছরের বয়স্কা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেল-জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে সরকার।

এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য আবুল হাশেম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের উপদেষ্টা শামসুল আলম (ডক), শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. হানিফ সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দীন জিয়া, আবদুল কাদের জসিম, নগর বিএনপি নেতা ইসহাক চৌধুরী আলীম, হামিদ হোসাইন, এম আই চৌধুরী মামুন, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহজান, আবদুল আজিজ, ইউসুফ সিকদার, মো. মহসিন, সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম, নগর মৎস্যজীবীদলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মুফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, মো. ইলিয়াছ, কাজী শামসুল আলম, হুমায়ুন কবির সোহেল, ফারুক আহমেদ, এম এ মুছা বাবলু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, মো. জসিম মিয়া, হাসান ওসমান চৌধুরী, আবু ফয়েজ, মন্জুর কাদের, হাজী মো. জাহেদ, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাসিম, আমান উল্লাহ আমান, মোজাম্মেল হক হাসান, হাজী মো. হোসেন, খায়রুজ্জামান জুনু, আসাদুর রহমান টিপু, তানভীর মল্লিক, মো. সালাউদ্দীন, মো. নওশাদ, সামিয়াত আমিন জিসানসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন।

ডিখ/মুন্না