ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আজও থেমে নেই-সুজন

সাম্প্রদায়িক শক্তি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে রুখে দাড়ানোর আহবান

দেশের খবর,রাজনীতি।। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমরা যখন আজ বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করছি ঠিক তেমনিভাবে এই দিনটা পাকিস্তান এবং আমেরিকার জন্য পরাজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী।

তাই তাদের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আজ থেমে নেই। তারা বিএনপি জামায়াতের কাঁধে ভর করে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসার চক্রান্ত করছে।

আজ শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী স্কুল মাঠে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আওয়ামী পরিবারের বিশাল সমাবেশ এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন সুজন।সাম্প্রদায়িক শক্তি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে রুখে দাড়ানোর আহবান

সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশব্যাপী যে উন্নয়ন সে উন্নয়নকে তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এজন্য সরকার এবং দলকে অনেক বেশি সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন আওয়ামী লীগ দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।

এই দীর্ঘ পথ চলায় বিভিন্ন সুবিধাভোগী ব্যক্তি দল এবং সরকারে ঢুকে পড়েছে। যারা অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা এবং সন্ত্রাস লালন পালন করে চলছে প্রতিনিয়ত এদেরকে চিহ্নিত করা আজ সময়ের দাবী।

সাম্প্রদায়িক শক্তি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে রুখে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন সুজন। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী শাসকদের অব্যাহত শোষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করে।

হাজার বছরের পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে দীর্ঘ নয় মাসের লড়াই শেষে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি ছিনিয়ে আনে তার কাংখিত মহাবিজয়।

বিশ্বের বুকে বাঙালিকে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে মুক্তির স্বাদ পৌঁছে দিতে জাতির পিতা তার নিজের জীবনকেও উৎসর্গ করতে কুন্ঠাবোধ করেননি।

আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপলাভ করতে চলেছে। তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে এক অপার বিস্ময়।

দারিদ্র্যের হার হ্রাসকরণ, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সূচকগুলোতে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি লাভ করার ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।

জাতির পিতা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, মৌলবাদ এবং জঙ্গীবাদ বিরোধী যে রাজনীতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে সে রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার সবিনয় অনুরোধ জানান সুজন।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক চৌধুরী মো. আলীর সভাপতিত্বে এবং জহির উদ্দিন মো. বাবর এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য এম.এ.জাফর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন চৌধুরী, নুরউদ্দিন চৌধুরী, মহিউদ্দিন চৌধুরী, দিলীপ কুমার দাশ, এম.এ.সালাম, আনছারুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এমদাদুল হাসান বাবু, সোয়েব ইসলাম, কুতুব উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদুর রহমান মান্না, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, নুরুল আবছার আজম খান, দেলোয়ার হোসেন সিরাজ, জামশেদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, আসিফ ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মো. ইদ্রিস মিঠু, সিরাজুদ্দৌলা নিপু, মো. ইদ্রিস, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, ঝন্টু ভট্টাচার্য, উজ্জ্বল দে, টুন্টু দাশ বিজয়, জমির উদ্দিন মাসুদ, আবুল হাসান সৈকত, শেখ মামুনুর রশীদ, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, আফগানী বাবু, মো. ওয়াসিম, মো. জাহাঙ্গীর, পাভেল ইসলাম, আরাফাত রুবেল, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জনি, ফয়সাল বিন নিজাম, নাঈম উদ্দিন তৌসিফ, তৌহিদুল ইসলাম, ইরফানুল আলম তানিম, হিমেল মজুমদার, আনন্দ আচার্য, তুষার আহমেদ প্রমূখ।

সমাবেশ শেষে সম্মূখভাগে জাতীয় পতাকা এবং ব্যান্ডের দেশাত্নবোধক গানের তালে বিশাল র‌্যালীটি উত্তর কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে কমিউনিটি সেন্টার মোড়, ঈশান মহাজন সড়ক হয়ে কর্ণেল হাট বাজারে এসে শেষ হয়।

ডিখ/প্রিন্স